বাজারে কয়েক ধরনের কায়দা পাওয়া যায়। তবে প্রচলিত দুইটি কায়দা। নুরানি কায়দা ও কায়দায় বিসমিল্লাহ । আর এই দুই কায়দায় পড়ানোর দুই ধরনের সিস্টেম আছে। আহকে আলোচনা করব কোন সিস্টেম বেস্ট হবে শিশুদের জন্য।
Noorani Qaida or Kayday Bismillah? Which book is best for child? বিস্তারিত নিচে লিখা হল-
নুরানি কায়দা ও কায়দায় বিসমিল্লাহ এর মাঝে পার্থক্য কি?
নুরানি কায়দা শুরু হয় আরবি ২৯ টি হরফ এর সাথে পরিচয় তারপর ২৯ টি হরফের শুরু, মাঝে, শেষ দেখতে কেমন হবে তা চিনানো হয়। এইসব কয়েক ধাপ চলার পর হরকত ও সকুনের পরিচয়পর্ব শুরু হয়।
পক্ষান্তরে কায়দায় বিসমিল্লাহ হল হরকতের সাথেই হরফের পরিচয় করানো হয় প্রথম অধ্যায়ে। বিষয়টি ফনিক্স এর মত। যারা ফনিক্স সম্পর্কে জানেন তারা সহজেই বুঝতে পারবেন।
কায়দায় বিসমিল্লাহ বইয়ে আদিব হুজুর বলেছেন, আমাদের সামনে বিদ্যমান কায়দায় প্রথমে হরফের পরিচয় অর্জন করি, এভাবে জীম, দাল, সোয়াদ ইত্যাদি। অথচ কুরআনে উচ্চারণ করি জা, জি,জু, মা,মি,মু ইত্যাদি। হরফের পরিচয় এবং উচ্চারণের এ পার্থক্য কোমলমতি শিশুর জন্য বেশ বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। তারপর আরম্ভ হয় ২৯ টি হরফকে শুরু শেষ ও মাঝের যুক্ত করার ধৈর্যক্ষয়ী দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আরো কয়েকটি পাঠ অতিক্রম করে তারপর শুরু হয় হরকত ও সুকুন সহ হরফের উচ্চারণ। পক্ষান্তরে আমাদের চিন্তা হল হরকত দ্বারা হরফে পরিচয় পর্ব শুরু করলে বিষয়টি অনেক সহজ হয়ে যায় এবং অল্পসময়ে অনেক দূর যাওয়া যায়। প্রিয় পাঠক এটা নিছক তত্ত্বকথা নয়, আল্লাহর রহমতে এটা এখন প্রায়োগিক সত্য। বিষয়টির কল্যাণ ও উপকারিতা আপনি নিজেও চিন্তা করে দেখুন। হরফের সঙ্গে হরফকে যুক্ত করার কঠিন পর্বে যাওয়ার আগেই আমরা আরবি হরফকে পরিচিত বাংলা শব্দ পরিবেশন এর মাধ্যমে হরকত ও সুকুনের নাম ও পরিচয় ছাড়া শুধু বাস্তব ব্যবহার তুলে ধরেছি। ফলে বিষয়টি যেমন সহজ হয়েছে তেমনি শিশুর জন্য হয়েছে বেশ উপভোগ্য। বলা যায় প্রায় কোন চেষ্টা ছাড়াই হরকত ও সুকুনের উচ্চারণ ও ব্যবহারের সঙ্গে শিশুর পরিচয় তৈরি হয়ে যায়।
মুলত কায়দায় বিসমিল্লাহ লিখা হয়েছে শিশুকে সামনে রেখে। শিশুর ব্রেনে কোন পড়া বোঝা না হয় এমন ভাবে। পড়া যাতে উপভোগ করা যায় এমনভাবে।
হযরত মাওলানা আবরারুল হক ছাহেব রাহ. উনার নুরানি কায়দায় লিখেছেন, ” পড়া যেন শিশুর মস্তিস্কে উপর বোঝা না হয়, বরং পড়ার প্রতি আগ্রহ ও আকর্ষণ যেন সৃষ্টি হয়।….
।