মুহাররম কি? আশুরা অর্থ কি? আশুরা কি শুধু কারবালার ঘটনা? আশুরার রোজা নিয়ে বিস্তারিত
আশুরা মানে শোক দিবস আশুরা মানে কান্নাকাটির দিন। কিন্তু কেন এই কান্না কেন এই শোক?
পেপার পত্রিকা থেকে শুরু করে আশুরাকেন্দ্রিক যাবতীয় আলোচনায় শুধু কারবালার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। মনে হয়, আশুরায় শুধু কারবালার ঘটনাই ঘটেছে।
হজরত রাসূলুল্লাহ (স.) ইন্তেকালের প্রায় ৫০ বছর পর ৬১ হিজরির ১০ মহররমে কারবালায় হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদাতের ঘটনা ঘটে। এখন আশুরার দিনে যেহেতু এই কারবালার ঘটনা ঘটে তাই একটি দাবি করে যে আশুরা মানে কারবালা। আর কারবালা মানে শোক দিবস।
কিন্তু আমার রাসুল (স.) ইন্তেকালের আগেই শরিয়তপুর্ণ হয়েছে। রাসুল (স.) ইন্তেকালের পর কোন নতুন কিছু শরীয়তে যুক্ত হবে না। বিশেষ কথা হল এই আশুরা নিয়ে আমাদের নবী কিছু কথা ও আমল বলে দিয়ে গিয়েছেন। তাহলে এই বিষয়ে নতুনত্ব আনা মানে বিদয়াত। তবে অবশ্যই কারবালার ঘটনা হ্রদয়বিদারক।
মুহাররম হল সম্মানিত চারটি মাসের একটি মাস। আশুরা অর্থ দশ। প্রচলিত অনুযায়ী আশুরা বুঝায় “মুহাররমের দশ তারিখ”।
হাদিস থেকে এই আশুরার দিনে দুইটি ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায়
১.বনি ইসরাইলের জন্য সমুদ্রের মাঝে রাস্তা বের করে দিয়েছেন।
২.ফেরাউন ও তার অনুসারীদেরকে সমুদ্রে ডুবিয়ে মেরেছেন।
বাকি অন্য অনেক বানোয়াট ঘটনা পাওয়া যায়।
আশুরার দিনের আমল –
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বলেন, নবী (সা.) মদীনায় হিজরত করলেন তখন দেখতে পেলেন— বনি ইসরাইলরা আশুরার দিন রোজা রাখছে। নবীজি জিজ্ঞেস করলেন কেন এই রোজা রাখ? তারা বললো এটি একটি উত্তম দিন এ দিনে আল্লাহ তা‘আলা বনি ইসরাইলকে তাদের ফেরাউনের কবল থেকে বাঁচিয়েছেন। তাই মুসা (আ.) শুকরিয়াস্বরুপ রোজা রেখেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, মুসার (অনুসরণের) ব্যাপারে আমি তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার।’’ অতঃপর তিনি রোজা রাখেন এবং অন্যদের রোজা রাখার নির্দেশ দেন।
[ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ২০০৪]
বনি ইসরাইলদের সাথে সম্পৃক্ত না হওয়ার জন্য রাসুল (সা.) দুইদিন রোজা রেখেছিলেন। আশুরার দিন একটি রোজা। তার আগের অথবা পরের দিন আরেকটি রোজা।