تَبَّتْ يَدَآ أَبِى لَهَبٍ وَتَبَّ
অর্থ: আবি লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে।
: مَآ أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُۥ وَمَا كَسَبَ
অর্থ: কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে।
سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
অর্থ: অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান অগ্নিতে।
وَٱمْرَأَتُهُۥ حَمَّالَةَ ٱلْحَطَبِ
অর্থ: এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে,
: فِى جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍۭ
অর্থ: তার গলদেশে পাকানো রশি থাকবে।
আবি লাহাব কে?
আবি লাহাবের আসল নাম ছিল আবদুল ওজ্জা। সে ছিল রাসুল (সা.)-এর চাচা। আবু লাহাব অর্থ অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ওয়ালা। আবু লাহাবের চেহারা লালিমাযুক্ত ছিল তাই তার নাম ছিল আবু লাহাব। আবু লাহাবের তিনজন পুত্র আর একজন মেয়ে সন্তান ছিল তারমধ্যে দুইজন পুত্র কে রাসুল (সা.) এর দুই মেয়ে কুলসুম আর রুকাইয়া (রা.) এর সাথে বিবাহ হয়েছিল। রাসুল নবুওয়াত লাভের পর আবু লাহাব জোরপুর্বক তার ছেলেদেরকে তালাক দিতে বাধ্য করে।
রাসুলের জন্মের পর থেকেই তার চাচা আবু লাহাবের কাছে প্রিয়জন থাকলেও পরবর্তীতে যখন রাসুন নবুওয়াত প্রাপ্ত হোন তখন আবু লাহাব রাসুলের বিরুদ্ধাচারণ শুরু করে।
আবু লাহাব নবী করিম (সা.)-কে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ নানা রকম নির্যাতন করত। শুধু আবু লাহাব নয় আবু লাহাবের স্ত্রী উম্মু জামিল ও রাসুল কে নিজের হার বিক্রি করে কষ্ট দেবার পণ করে।
কুরআনে ইসলামের কোন শক্রর নাম উল্লেখ করে কোন আয়াত বা সুরা নাযিল হয় নি। শুধু সুরাতু আবি লাহাব ছাড়া।
এই সুরায় বলা হয়েছে আবু লাহাব সর্বাঙ্গীনভাবে তার স্ত্রীসহ ধ্বংস হোক। তার বিপুল ধন-সম্পদ সন্তান-সন্ততি, ইহকাল পরকালে কোথাও উপকারে আসবে না। সে তার কর্মের কারনে অবশ্যই জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
আবু লাহাবের শেষ পরিনতি
বদরের যুদ্ধের কিছুদিন পর আবু লাহাবের শরীরে এক রোগ বাসা বাধে। অন্যদের দেহে এই রোগের সংক্রমণের হবে বলে তার পরিবার একটি নির্জন আলাদা জায়গায় ফেলে রাখে। আর আবু লাহাব এভাবেই মারা যান। তার মারা যাওয়ার তিনদিন পর লাশ পঁচার দূরগন্ধ বের হলে তখন সবাই জানতে পারে যে আবু লাহাব মারা গিয়েছে। তখন তারা এক মজদুরকে দিয়ে গর্ত খনন করে তার লাশ লাঠি দিয়ে ঠেলে গর্তে ফেলে। এরপর উপরে পাথর চাপা দেয়।