সুরা কাউছার (কাওছার) অর্থ ও তাফসির।

Written By Holy Maktab

October 10, 2023

Al-Kawthar 108:1

إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ

(হে রাসূল!) নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাওছার দান করেছি।

Al-Kawthar 108:2

فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ

সুতরাং তুমি নিজ প্রতিপালকের (সন্তুষ্টির) জন্য নামায কায়েম কর ও কুরবানী দাও।

Al-Kawthar 108:3

إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلْأَبْتَرُ

নিশ্চয়ই তোমার যে শত্রু সে নির্বংশ।

সুরা কাউছার (কাওছার) অর্থ ও তাফসির।

কাউছার অর্থ কি?
কাউছার অর্থ অসীম, প্রাচুর্য।
সুরা কাউছার এ কাউছার অর্থ হল – জান্নাতের একটি মিস্টি নদী।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) এ সূরার আয়াতসমূহ তিলাওয়াত করে বলেনঃ “আমাকে কাওসার দান করা হয়েছে। কাওসার একটি প্রবাহিত ঝর্ণা বা নহর, কিন্তু গর্ত নয়। ওর দুপাশে মুক্তার তৈরি তবু রয়েছে। ওর মাটি খাটি মিশকের ওর পাথরও খাঁটি মুক্তাদ্বারা নির্মিত।

সুরা কাউছার এর ব্যাখ্যা-

إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ

(হে রাসূল!) নিশ্চয়ই আমি তোমাকে কাওছার দান করেছি।

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) কিছুক্ষণ তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলেন। হঠাৎ মাথা তুলে হাসিমুখে তিনি বললেন অথবা তার হাসির কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেনঃ “এই মাত্র আমার উপর একটি সূরা অবতীর্ণ হয়েছে। তারপর তিনি বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে সূরা কাওসার পাঠ করলেন। তারপর তিনি সাহাবীদেরকে জিজ্ঞেস করলেনঃ “কাওসার কি তা কি তোমরা জান?” উত্তরে তারা বললেনঃ “আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই (সঃ) ভাল জানেন।” তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “কাওসার হলো একটা জান্নাতী নহর। তাতে বহু কল্যাণ নিহিত রয়েছে। পবিত্র আল্লাহ আমাকে এটা দান করেছেন। কিয়ামতের দিন আমার উম্মত সেই কাওসারের কাছে একত্র হবে। আসমানে যতো নক্ষত্র রয়েছে সেই কাওসারের পিয়ালার সংখ্যাও হবে ততো। কিছু লোককে কাওসার থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে তখন আমি বলবো: হে আমার প্রতিপালক! এরা আমার উম্মত!” তখন তিনি আমাকে বলবেনঃ “তুমি জান না, তোমার (ইন্তেকালের) পর তারা কত রকম বিদআত আবিষ্কার করেছে!”

إِنَّ شَانِئَكَ هُوَ ٱلْأَبْتَرُ

নিশ্চয়ই তোমার যে শত্রু সে নির্বংশ।
ابتر( আবতার)
আবতার অর্থ হল একা, একাকিত্ব। আরবে এর প্রচলিত আছে কারো সন্তান মারা গেলে তখন তাকে “আবতার” বলা হত। রাসুল (সা.) এর ছেলে সন্তান ইন্তেকাল এর পর রাসুলের শত্রুরা তাকে আবতার (একাকি) বা নির্বংশ বলা শুরু করেছে। তাদের এই কথার বিপরীতে আল্লাহ তায়ালা এই আয়াত অবতীর্ণ করেন।
” নিশ্চয়ই তোমার যে শত্রু সে নির্বংশ”