বাচ্চারা সবসময় চেচামেচি করে। সব বাচ্চা না কিছু বাচ্চা শান্তও হয়। আবার কখনও আমি দেখতে পাই বাচ্চারা গালি দেয় খারাপ কথা বলে। আপনি কি ভেবে দেখেছেন এই গালি খারাপ কথা কোন জায়গা থেকে শিখেছে?
নিশ্চয়ই বড়দের থেকেই গালি শুনে খারাপ কথা শুনে। আর বাচ্চাদের ব্রেইন এত বেশি পরিস্কার থাকে যা কিছু একবার শুনে মনে রাখতে পারে। আর বাচ্চারা বড়দের কপি করতে পছন্দ করে। তাই আমাদের বড়দের উচিত গালি খারাপ কিছু বাচ্চাদের সামনে না বলা। শুধু বাচ্চাদের সামনে না কখনো কারো সামনে বাজে কথা না বলা। কারন আমাদের প্রতিটা কথার হিসাব হবে। আমাদের সকল অনুভূতি কথা দিয়েই প্রকাশ করি। জীবনে যেই কাজ সবচেয়ে বেশি করি তা হল কথা।
কখন ও কি চিন্তা করেছেন “কথা” কিভাবে বলতে হবে
এই বিষয়ে কুরআন কি বলেছে?
“TeachinTeaching Etiquette and Manners to Children: The Impact of Words and Quranic Insights”
১. সতর্কতার সঙ্গে কথা বলা কেননা প্রতিটি কথাই রেকর্ড করা হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-
مَا یَلۡفِظُ مِنۡ قَوۡلٍ اِلَّا لَدَیۡهِ رَقِیۡبٌ عَتِیۡدٌ
‘যে কথাই মানুষ উচ্চারণ করে (তা সংরক্ষণের জন্য) তার কাছে একজন সদা তৎপর প্রহরী আছে।’ (সুরা কাফ : আয়াত ১৮)
২.সুন্দরভাবে উত্তমরূপে কথা বলা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ قُوۡلُوۡا لِلنَّاسِ حُسۡنًا
আর তোমরা লোকের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ৮৩)
৩.নিচু স্বরে কথা বলা।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَرۡفَعُوۡۤا اَصۡوَاتَکُمۡ فَوۡقَ صَوۡتِ النَّبِیِّ وَ لَا تَجۡهَرُوۡا لَهٗ بِالۡقَوۡلِ کَجَهۡرِ بَعۡضِکُمۡ لِبَعۡضٍ اَنۡ تَحۡبَطَ اَعۡمَالُکُمۡ وَ اَنۡتُمۡ لَا تَشۡعُرُوۡنَ
‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল-নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।’ (সুরা হুজরাত : আয়াত ২)
৪.বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
اُدۡعُ اِلٰی سَبِیۡلِ رَبِّکَ بِالۡحِکۡمَۃِ وَ الۡمَوۡعِظَۃِ الۡحَسَنَۃِ وَ جَادِلۡهُمۡ بِالَّتِیۡ هِیَ اَحۡسَنُ
‘তুমি মানুষকে তোমার রবের পথে আহবান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে আলোচনা কর সুন্দরভাবে।’ (সুরা নাহল : আয়াত ১২৫)
৫. গাধার মতো কর্কশ স্বরে কথা না বলা। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ اقۡصِدۡ فِیۡ مَشۡیِکَ وَ اغۡضُضۡ مِنۡ صَوۡتِکَ ؕ اِنَّ اَنۡکَرَ الۡاَصۡوَاتِ لَصَوۡتُ الۡحَمِیۡرِ
‘আর তোমার চলার ক্ষেত্রে মধ্যপন্থা অবলম্বন কর, তোমার আওয়াজ নীচু কর; নিশ্চয় সবচাইতে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৯)
৬.ঈমানদারের কথা ও কাজ এক হওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لِمَ تَقُوۡلُوۡنَ مَا لَا تَفۡعَلُوۡنَ
‘হে মুমিনগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা তোমরা কর না।’ (সুরা সফ : আয়াত ২)