লায়লাতুল কদর কি?
লায়লাতুল কদর হল এত একটি রাত যার ফজিলত কুরআন ও হাদিস থেকে জানা যায়। ফজিলতপুর্ন রাতগুলোর মধ্যে থেকে লায়লাতুল কদর হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ফজিলতপুর্ন।
এই রাত সম্পর্কে একটি সুরা যা “সুরাতুল কদর” নামে পরিচিত অবতীর্ণ হয়েছে। এবং এই রাত সম্পর্কে বহু হাদিস পাওয়া যায়।
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি খাঁটি ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর নিকট সওয়াবের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখল, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি কদরের রাতে সালাতে দাঁড়ালো। খাঁটি ঈমানের সাথে এবং আল্লাহর কাছ থেকে প্রতিদানের আশায়, তাহলে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
কথা হলো কেন আমি আজকে লায়লাতুল কদর দিয়ে লিখছি? আদৌ কি বাচ্চাদের জন্য লায়লাতুল কদর সম্পর্কে জানা দরকার?
আমার মনে হয় দ্বীনি সকল কার্যক্রম ছোট থেকেই শিখানো উচিত কেননা আমরা ছোট থেকে বাচ্চাদেরকে ট্রেইন করি কিভাবে নিজ হাতে খাবার খেতে হয়। যেকোন বিষয় আমরা ছোট থেকেই বাচ্চাদেরকে ট্রেইন করি যাতে বড় হয়ে কাজটি করতে পারে।
কিন্তু আমরা দ্বীনি বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে তৎপর না। চিন্তা করি বড় হয়ে নিজেই করবে অথবা আমাদের টা দেখে দেখে শিখবে। আমার অভিজ্ঞতা মতে সব কিছু যেমন ছোট থেকেই ট্রেইন করি তেমনি দ্বীনি বিষয় ও ছোট থেকে ট্রেইন করা।
তাই এবারের টার্গেট কিভাবে লায়লাতুল কদর এর গুরুত্ব মর্যাদা বাচ্চাদের অন্তরে স্হির করা যায়।
~প্রথমত রমাদান আসলে আমরা লাইলাতুল কদর এর সম্পর্কিত হাদিস বাচ্চাদের শুনাতে থাকব। বাচ্চারা প্রথম ৫/৬ বছর কিছুই বুঝবে না। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব বাচ্চাদেরকে হাদিস শুনানো। ব্যাখ্যা আলোচনা করা বাচ্চাদের সামনে।
~দ্বিতীয় হল সুরা কদর মুখস্থ করানো। অর্থ পড়ে শুনানো। শানে নুযূল পড়ে গল্প শুনানো। এইটাই আমাদের মা-বাবাদের কাজ।
~তিন নাম্বার বিষয় হল নিজেরা মা-বাবা লাইলাতুল কদর এর উপর আলম করা এটাও বাচ্চাদেরকে শিখানোর একটি পদ্ধতি।
~সর্বশেষ পদ্ধতি হল কিছু এক্টিভিটি করানো যাতে বাচ্চারা আনন্দের সাথে লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে চায়। মুখে হাদিস শুনানো আর হাতে কলমে যদি এক্টিভিটি করানো যায় তাহলে বাচ্চার অন্তরে লায়লাতুল কদর গেঁথে থাকবে ইন-শা-আল্লাহ।