We know the name of the second Surah of the Quran is Al-Baqarah.
Al-Baqarah means the cow. There is a story of a cow in this Bakara Shura. This surah is named after the story of the cow.
The incident of this cow happened during the time of Musa (as).
This event is centered on Musa (pbuh).
Narrated in the Musnad Ibn Abi Hatim, a wealthy man of Bani Israel—who had no children, was succeeded by a brother’s son. His brother’s son killed his uncle in the hope of getting property quickly. Then at night he left it on the doorstep of a villager and in the morning went and accused the man of murder. People divided into two groups over who killed and started fighting and killing. At that time, the wise people said to them – Why should you kill each other while the Prophet of God Musa (A.S.) exists among you? So they came to Musa (peace be upon him) and narrated the incident.
In the brief description of this incident in Surah Baqarah verses 67 to 73, it is said that the people of Bani Israel turned to Prophet Musa (AS) to resolve this dispute. Since it was not possible to solve this problem by ordinary means, Hazrat Musa (A.S.) took the initiative to solve this problem in a miraculous way. He said to Bani Israel, Allah has ordered that a cow should be slaughtered. Then if a piece of meat from the slaughtered cow touches the victim’s body, he will come alive and tell the name of the killer. They heard this instruction and said to Musa (a.s.), are you joking with us with such advice? Hazrat Musa (a.s.) replied, mocking is the work of ignorant people. Prophets of Allah never do that. If you want to identify the killer, you have to do this as directed. It is described in the Qur’an as follows:
When the Jews realized that the commandment to slaughter the cow was true and of course obeyed, they began to question and asked what kind of cow should be slaughtered? Although many ambiguities are removed by the question, the Jews were essentially trying to avoid a duty by asking such a question. So they keep asking rude questions.
Now the disobedient Jews wanted to know what color the cow would be. But the first commandment of Allah did not mention any specific color of cow. If the matter of color had been important, Allah would have mentioned it in the first commandment. But Allah later revealed verses referring to certain colors to stop them from making excuses. By which Allah made their task more difficult.
Then the Jews got such a cow from a man. which no one else had. The man said, by God! I will not sell this cow hide for less than gold. So they buy it at that price and slaughter it.
Then they hit the dead man with a piece of meat from the slaughtered cow. Then the dead man stood up. People ask him, who killed you? He said – ‘This is my nephew’. By saying this he died. As a result, he was not given any property of the deceasd.
আমরা জানি কুরআনের দ্বিতীয় সুরার নাম আল-বাকারা।
আল-বাকারা অর্থ হল গাভী। এই বাকারা শুরায় একটি গাভীর গল্প আছে। গাভীর গল্প থেকেই এই সুরার নাম করা হয়েছে।
এই গাভীর ঘটনা ঘটেছে মুসা (আঃ) এর জামানায়।
এই ঘটনা মুসা (আঃ) কেন্দ্রিক।
মুসনাদ ইবনে আবি হাতিমে বর্ণিত হয়েছে, বনি ইসরাঈলের এক ধনী লোক—যার কোনো সন্তান ছিল না, তাঁর উত্তরাধিকারী ছিল এক ভায়ের ছেলে। তার ভায়ের ছেলে তাড়াতাড়ি সম্পত্তি লাভের আশায় সে চাচাকে হত্যা করে ফেলে।তারপর রাতে গ্রামের এক লোকের দরজার ওপরে রেখে আসে এবং সকালে গিয়ে ওই লোকটির ওপর হত্যার অপবাদ দেয়। কে হত্যা করেছে এই নিয়ে লোকজন দুই দলে বিভক্ত হয় আর মারামারি ও খুনাখুনি করতে থাকে। এমন সময় জ্ঞানী লোকেরা তাদেরকে বলেন- তোমাদের মধ্যে আল্লাহর নবী মূসা (আ.) বিদ্যমান থাকতে একে অপরকে হত্যা করবে কেন? সুতরাং তারা মূসা আলাইহিস সালামের কাছে এসে ঘটনাটি বর্ণনা করে।
সূরা বাকারার ৬৭ থেকে ৭৩তম আয়াতে এই ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনায় বলা হয়েছে, এ বিবাদের মীমাংসার জন্যে বনী ইসরাইলের লোকেরা হযরত মূসা (আঃ)-এর শরণাপন্ন হলো। যেহেতু সাধারণ উপায়ে এ সমস্যার সামাধান করা সম্ভব ছিল না, তাই হযরত মূসা (আ.) অলৌকিক পন্থায় এ সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেন। তিনি বনী ইসরাইলীদের বললেন, আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন যে, একটি গরু জবাই করতে হবে। এরপর জবাই করা গরুর এক টুকরো গোশত নিহত ব্যক্তির গায়ে স্পর্শ করলে সে জীবিত হয়ে হত্যাকারীর নাম বলে দেবে। তারা এই নির্দেশ শুনে মূসা (আ.)কে বলল, এ ধরনের পরামর্শ দিয়ে তুমি কি আমাদের সাথে ঠাট্টা করছো ? হযরত মূসা (আ.) জবাবে বললেন, ঠাট্টা বিদ্রূপ করা অজ্ঞ লোকদের কাজ। আল্লাহর নবীরা কখনও এমনটি করেন না। যদি হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে চাও তবে নির্দেশিত এই কাজ করতে হবে। এর বর্ণনা কোরআনে এসেছে এভাবে—
যখন ইহুদীরা বুঝতে পারলো যে, গরু জবাই করার আদেশ সত্য এবং অবশ্য পালনীয়, তখন তারা তালবাহানা শুরু করল এবং জানতে চাইল কোন ধরনের গরু জবাই করতে হবে? যদিও প্রশ্নের মাধ্যমে অনেক অস্পষ্টতা দূর হয়, কিন্তু ইহুদীরা এ ধরনের প্রশ্ন তুলে মূলত দায়িত্ব পালন না করার চেষ্টা করছিল। তাই তারা অভদ্রভাবে প্রশ্ন করতে থাকে।
এবার অবাধ্য ইহুদিরা গরুর রঙ কেমন হবে জানতে চাইল। অথচ আল্লাহর প্রথম নির্দেশে গরুর কোনো নির্দিষ্ট রঙের কথা উল্লেখ ছিল না। যদি রঙের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হত, তবে আল্লাহ প্রথম নির্দেশেই তা উল্লেখ করতেন। কিন্তু আল্লাহ তাদের অজুহাত সৃষ্টির পথ বন্ধ করে দেয়ার জন্য পরে নির্দিষ্ট রঙের কথা উল্লেখ করে আয়াত নাজিল করেন। যে নির্দেশের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা তাদের কাজকে আরও কঠিন করে দিলেন।
তারপর ইহুদিরা সেরকম গরু একটি লোকের কাছে পেলো। যা অন্য কারো কাছে ছিল না। লোকটি বলল, আল্লাহ তায়ালার শপথ! এই গরুর চামড়াপূর্ণ স্বর্ণের কম মূল্যে আমি বিক্রি করব না। সুতরাং তারা ওই মূল্যেই তা কিনে নেয় এবং জবাই করে।
তারপর তারা ওই জবাইকৃত গরুর একখণ্ড গোশত দিয়ে ওই মৃত ব্যক্তির ওপর আঘাত করে। তখন মৃত লোকটি দাঁড়িয়ে যায়। লোকগুলো তাকে জিজ্ঞেস করে, তোমাকে কে হত্যা করেছে? সে বলল- ‘আমার এই ভ্রাতুষ্পুত্র’। এ কথা বলেই সে মারা যায়। ফলে তাকে মৃত ব্যক্তির কোনো সম্পদ দেয়া হয়নি।