রমাদান আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সম্পুর্ণ রমাদান মাস আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কেন এত গুরুত্বপূর্ণ মাস রমাদান? কারন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষের প্রত্যেকটি আমলকে বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকি (সওয়াব) ১০ গুণ থেকে (ক্ষেত্র বিশেষে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কিন্তু রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ, রোজা আমার জন্য। সুতরাং এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব।’ (সহিহ বোখারি : ১৮৯৪, সহিহ মুসলিম : ১১৫১/১৬৪)।
তাছাড়া এই মাসেই পবিত্র কুরআন অবতীর্ণ হয়।
এই মাসে মু’মিন বিভিন্ন ইবাদতে ব্যস্ত সময় কাটায়। তাহাজ্জুদ, কুরআন তেলওয়াত, ইসলামিক লেকচার, তারাবি এই সকল বিষয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করে থাকে।
কিন্তু বাচ্চারা? যাদের বয়স ৪-১২? তারা এই রমাদানে কি করবে? কিভাবে ওদের বুঝাব এই মাসের গুরুত্ব?
আমরা চিন্তা করি যে ওরা বাচ্চা এই মাসের গুরুত্ব বুঝবে না।কিন্তু আসলে বিষয়টি এমন না।৩ বছরের বাচ্চা নিজেদের বার্থডে বুঝে উদযাপন করতে জানে। কারন তাদের কে ১ বছর থেকে বার্থডে কে এই ভাবেই উপস্থাপন করা হয়েছে।
তাহলে আমরা যদি ছোট থেকেই এই রমাদানকে বাচ্চাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে উপস্থাপন করি তাহলে বাচ্চারা এটাই শিখবে।
এখন আসি মূল বিষয়ে, কিভাবে সুন্দর ভাবে রমাদান কি? রমাদানের গুরুত্ব বাচ্চাদের সামনে তুলে ধরবো।
প্রথমে আমরা প্রপার একটি ডেইলি রুটিন বানাব যেখানে সলাতের হিসাব, দিনটি কেমন কাটল, দান-সদকা আজকে হয়েছে কি না? এই সকল বিষয়ের একটি রুটিন হবে। এতে করে বাচ্চাদের দিন কাটবে ব্যস্ততায়।
এরি সাথে রুটিন বানালে ওরা খুব আনন্দের সাথে সলাত আদায় ও বিভিন্ন আমালে সলিহাত /সৎ কর্ম শিখতে পারবে। নিচে রুটিন এর একটি ছবি দেয়া হল।